আমাদের সম্পর্কে

about-us-photo

উপনিবেশ আমল থেকেই এই উপমহাদেশে চলছে সেক্যুলার বা ধর্মনিরপেক্ষ শিক্ষাব্যবস্থা। যার পরিবর্তন সময়ের অপরিহার্য দাবি। কিন্তু কীভাবে তা পূরণ হবে? প্রয়োজন ইস্পাত কঠিন সিদ্ধান্তে দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে যাওয়া। সার্বজনীন একটি শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা। সে লক্ষ্যেই একটি প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে “দারুল আজহার মডেল মাদরাসা”।

প্রচলিত প্রথায় যারা হাফেজে কুরআন হচ্ছেন তাদের অধিকাংশই কুরআন মজিদকে বুঝার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন না। যারা ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন করছেন তারা ধর্মীয় জ্ঞানে একবা- রেই শিশু। আমরা এ তিনের সমন্বয় চাই। তা আমাদের সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞা-েনও সমমানে পৌঁছার সুব্যবস্থা । বিশেষ করে ইসলামিক ও আধুনিক জ্ঞানের পাশাপাশি পবিত্র কুরআনের হিফজ এ সিলেবাসের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। প্রফেসর ডঃ সৈয়দ আলী আশরাফ (রঃ) এর শিক্ষা দর্শনের আলোকে পৃথিবীর খ্যাতনামা ইসলামী শিক্ষায়তনগুলোর পাঠ্যক্রম অনুসারণে, বিশেষভাবে মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরবে ও বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাঠ্যক্রমের সাথে সামঞ্জস্য বিধান করে আন্তর্জাতিক মানে এর সিলেবাস তৈরি করা হয়েছে।

প্রাথমিকভাবে ঢাকা লক্ষ্মীপুর, ফেনী ও নোয়াখালীতে এর ক্যাম্পাস খোলা হয়েছে, এবছর উত্তরা মডেল টাউন ক্যাম্পাস, সিলেট ক্যাম্পাস, ও কুড়িগ্রাম ক্যাম্পাস প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এভাবে প্রতিটি জেলায় একটি করে ক্যাম্পাস গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য। আমরা চাই এক ও অভিন্ন সিলেবাসে এদেশের সকল শিক্ষার্থীরা শিক্ষাগ্রহন করবে। পর্যায়ক্রমে উচ্চ শিক্ষার দ্বার উন্মোচনের লক্ষ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে।

পরিবর্তনশীল পৃথিবীতে নতুন শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যখন বিশ্বব্যাপী চলছে তুমুল প্রতিযোগিতা তখন সে পথে নিজেদেরকে যথাযোগ্যরূপে গড়ে না তুললে জি অধিকার, মর্যাদা এবং ঈমান ও আক্বীদা নিয়ে সমাজে টিকে থাকা সম্ভব হবে না। তাই জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহারসহ জাগতিক বিদ্যায় দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি দ্বীন শিক্ষা, নৈতিকতা ও চারিত্রিক উৎকর্ষ অর্জন সময়ের অপরিহার্য দাবি। সে দাবি পূরণে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য সর্বস্তরের যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি গঠনের মতো সার্বজনীন কোনো শিক্ষা কার্যক্রম আমাদের দেশে নেই বললেই চলে। সে শূন্যতা পূরণের প্রয়োজনীতা অনুভব করেই দারুল এক নজরে দারুল আজহারআজহার মডেল মাদরাসা স্থাপন করা হয়েছে।

  • * মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে ধর্মীয় জ্ঞান শিক্ষার পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, অংক, বিজ্ঞান, ভূগোল, ইতিহাস, সমাজবিজ্ঞান ইত্যাদি এমনভাবে শিক্ষা দেয়া হয় যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা ধর্মীয় জ্ঞানে উন্নত আলেম হওয়ার সাথে সাথে আধুনিক জ্ঞানেও সমমানে পৌঁছে যুগোপযোগী আলেম হতে পারবে।
  • * হিফজের পাশাপাশি বাংলা, ইংরেজি, অংক ও আরবী ভাষা শিক্ষা দান।
  • * হিফজ শেষ করার পর চার বছরে মাধ্যমিক শিক্ষা শেষ করে মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের দাখিল পরীক্ষায় এবং দাখিল পাশ করার দু’বছর পর যথারীতি আলিম পরীক্ষায় ও অংশগ্রহন।
  • * দাখিলে যথাক্রমে সাধারণ, বিজ্ঞান, হিফজুল কুরআন বিভাগসহ কম্পিউটার বিষয় রয়েছে।
  • * আলিম পাশ করার পর এসব ছাত্র-ছাত্রী বাংলাদেশের যে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের যে কোনো অনুষদে ভর্তি হওয়ার সুযোগ লাভ করবে।
  • * আগ্রহী ছাত্রবৃন্দের অন্যান্য অনুষদেও (তথা: ডাক্তারী, ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি) ভর্তির সুযোগ এবং বাংলাদেশের সরকারী বেসরকারী সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
  • * আল- কুরআন মর্মার্থ অনুধাবন ও বিশুদ্ধ কুরআন তেলাওয়াত শিক্ষাদান ।
  • * বলিষ্ঠ ইসলামী স্কলার তৈরির লক্ষ্য পবিত্র কুরআনের আহকাম সম্পর্কিত আয়াত সমূহ সহ অন্তত ৫ পারা এবং ৩০০ সহিহ হাদিস হিফজ বাধ্যতামূলক।
  • * Text বইয়ের পাশাপাশি ব্রিটিশ ইংলিশের মূল্যায়ন পদ্ধতি IELTS অনুকরণে।
  • * শ্রেণিভিত্তিক Practical English Language Courses চালুকরণ ।
  • * আরবী ও ইংরেজি ভাষায় বিশুদ্ধ উচ্চারণে কথোপকথনের ব্যবস্থা।
  • * জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষাবিদ ও আলেমে দ্বীনগণের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত।
  • * ছাত্রদের প্রতিভাবিকাশে বক্তৃতা, বিতর্ক, লিখনী ও ইসলামী সঙ্গীতের অনুশীলন।
  • * ব্যস্ত ও প্রবাসী অভিভাবকের সন্তানের সম্পূর্ণ অভিভাবকত্ব গ্রহণ।
  • * সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎব্যবস্থা এবং অসুস্থতায় তাৎক্ষণিক চিকিৎসা প্রদান।
  • * নিজস্ব কম্পিউটার ল্যাব. সমৃদ্ধ-সুন্দর লাইব্রেরী, শরীরচর্চা ও খেলাধূলার সুব্যবস্থা ।
  • * আবাসিক ছাত্ররা ২৪ ঘণ্টাই শিক্ষকগণের সরাসরি তত্ত্বাবধানে থাকে।
  • * জামা-কাপড় ধোয়া, ও ইস্ত্রী করার জন্য নিয়মিত লন্ড্রী সার্ভিস।
  • * মাদ্রাসা ক্যাম্পাস সিসি ক্যামেরা আওতাভুক্ত ও প্রজেক্টর সম্বলিত ক্লাস রুম ।
  • * কচি-কাঁচাদের জন্য ইনডোর গেমের ব্যবস্থা।
  • * শিক্ষার্থীদের যথোপযুক্ত পাঠদানের স্বার্থে শিক্ষকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান ।
  • * দক্ষ ও অভিজ্ঞ ভিজিটিং শিক্ষকগণ কর্তৃক প্রতিটি বিষয়ের/ কোর্সের তত্ত্বাবধান ।
  • * ছাত্রদের শোয়ার জন্য মাদরাসার পক্ষ থেকে খাটের ব্যবস্থা।
  • * উন্নতমানের স্বাস্থ্যসম্পন্ন রুচিশীল খাবার পরিবেশন।
  • * লোডশেডিংমুক্ত মাল্টি-সিস্টেম জেনারেটর।